মাসুদ আনসারীঃ
মোটিভেশনাল স্পিচের পক্ষে আমি। সুযোগ পেলেই আমি ইউটিউবে মোটিভেশনাল স্পিচগুলো দেখি। দৃঢ় করে, স্বপ্ন দেখাতে পারে নতুন করে। সাহস জোগায়। এইচএসসি রেজাল্টের পর আমি এর পক্ষে বেশ বড় একটা আর্টিকেল লিখেছিলাম,যেটি চ্যানেল আগামীতে প্রকাশ পেয়েছে।
কিন্তু বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে বলতে হচ্ছে মোটিভেশনাল স্পিকার’রা কথা ব্যবসায়ী। কূটকৌশলী। ধান্ধাবাজ। তবে সবাইকে কথা ব্যবসায়ী বা এইসব নেতিবাচক গুণে সম্বোধন করা যায় না। এদের মধ্যে কয়েকজনকে আমি চিনি। এরা স্বার্থ কে খুব বেশি দেখে না, এদের কাছে টাকা খুব বেশি ইম্পরট্যান্ট না। ওরা আসলেই আমার-আপনার মতো জীবনে কিছু হবে না এমন বিশ্বাস বুকে ধারণ করে নুয়ে পড়াদের মোটিভেট করতে চায়। জীবনকে স্বার্থক করতে বিভিন্ন প্রোগ্রামে তারা মোটিভেট করতে মুখিয়ে থাকে। তারা নিজ থেকে অপেক্ষা করে কোনো প্রোগ্রামের, ইনভাইট পেলে সেলারি ঐসব বাদ দাও তো বলে দেয় শুরুতেই। তাদের স্যালুট।
তবে এখন কয়েকজন আছে, বেশ সেলেব্রিটি মোটিভেশনাল স্পিকার তাদের কোনো প্রোগ্রামে আনতে চাইলে শুরুতেই জানান দেয়, আমার একটা প্রোগ্রাম পে কতো জানেন তো? খুব ছোট না অংকে, অনেক বড়। যেটা আপনি ভাবতেও পারবেন না!!
আপনি যদি তাদের সেভাবে সম্মানী দিতে না পারেন তাহলে সেভাবে মোটিভেট হবে না প্রোগ্রাম ভেতর থেকে কথা বের করবে না। সামান্য হালকা পাতলা কিছু বয়ান দিয়ে সমাপ্ত ঘোষণা করে দিবে। এদের আমাদের বয়কট করা উচিত। আপনি যদি সত্যি সত্যি দেশ, সমাজ, তরুণ প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখাতে চান। তাদের নিয়ে চিন্তিত হয়ে থাকেন তাহলে প্রতিটি প্রোগ্রামে এতো বিশাল অংক চেয়ে বসেন কেন? মোটিভেশন প্রোগ্রামগুলোতো ছাত্ররাই বেশি আয়োজন করে থাকে, তাদের এই অংক কালেক্ট করতে গিয়ে কতো রাত নির্ঘুম থাকতে হয় আপনার ধারণা আছে?

মোটিভেশনাল স্পিকার এখন গলিতে গলিতে জন্মাচ্ছে, ভালো ভালো কথা শুনিয়ে ধান্দা করার জন্য তারা নেমেছে। আমাদের সতর্ক থাকা উচিত। এবং যাদের উদ্দেশ্য ভালো তাদের সম্মান দেয়াও উচিত আমাদের। শেষে একটা কথা বলি। আমার এক বড় ভাই, ফিচার লেখক বলেছিল… এগুলারে জাতে আমরাই উঠাই। সব শালারা ভন্ড মাল!
লেখক,ফিচার কন্ট্রিবিউটর
কালের কন্ঠ, শেয়ার বিজ