ইবতিদা ইদ্রিস ||
আপামর জনতার সক্রিয় অংশগ্রহণই ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রাণ। তবে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ঘটনাবলি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজের ভূমিকা ছিল অহঙ্কার করার মতো। একক গোষ্ঠী হিসেবে ছাত্রদের সংখ্যা ছিল বেশি। গোটা জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। বলা যায়, দেশের সব আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছে এদেশের ছাত্র সমাজ। মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রদের অবদানের কথা বলতে গেলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিজয়ী বেশে অস্ত্র হাতে স্লোগানরত ছাত্রদের একটি অবিস্মরণীয় ছবি।
ঠিক একইভাবে ২০১৮-র নিরাপদ সড়ক চাই শিক্ষার্থী আন্দোলন বাংলাদেশে সড়ক পথে হতাহতের ঘটনায় সংগঠিত একটি আন্দোলন বা বিক্ষোভ। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় সংগঠিত এক সড়ক দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে নিহত দুই স্কুল শিক্ষার্থীর সহপাঠিদের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ পরবর্তীতে দেশের অন্যান্য স্থানেও ছড়িয়ে পড়ে। রোববার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে অপেক্ষারত একদল কলেজ শিক্ষার্থীর ওপর বেপরোয়াভাবে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস উঠিয়ে দিলে ঘটনাস্থলেই দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ৬-৭ জন আহতও হয়েছে।
নিরাপদ সড়ক ও এই দুর্ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিসহ ৯ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করছেন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এই বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়েছে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ।বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের মায়েরা সমর্থন জানিয়েছে তাদের এ আন্দোলনকে। আন্দোলনে সরাসরি মাঠে থাকতে না পারলেও তাদের সমর্থন দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন অনেক তারকা।সরাসরি যুক্ত হয়েছেন আরও অনেকে। দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পরও পঞ্চম দিনের মতো নিরাপদ সড়ক ও ঘাতক চালকদের শাস্তিসহ ৯ দফা দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে নানা ধরনের স্লোগান দিচ্ছে তারা, যাচাই করে দেখছে গাড়ির ড্রাইভারদের লাইসেন্সও। তবে এইবারের আন্দোলন হাতে মশাল নিয়ে নয়, ন্যায় বিচারের দাবি নিয়ে নেমেছে ছাএসমাজ।
৭১’ রে জয়ী এই দামাল ছেলেরা কিভাবে দমে থাকবে ১৮’ তে?? সাদা শার্ট রক্তাক্ত করে হলেও জয় নিয়েই ফিরবে…
#নিরাপদ_সড়ক_চাই
#হোক_প্রতিবাদ