|| মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন ||
গল্পটা আমার চিরচেনা। ২০১৫ সালে এসএসসি পাস করার পর পাড়ি জমিয়েছি শহরের উদ্দেশ্য। কিন্তু চির সবুজ ওই গ্রামীণ লোকালয়ে স্কুল কলেজ গুলোতে শুধু পাঠ্য বই ছিল একমাত্র কোনো বিষয়ে জানার হাতিয়ার।ওই পাঠ্য বইয়ে যা ই আমাদের পড়ানো হতো তাই আমরা জানতাম এবং পরীক্ষায় লিখতাম।
কিন্তু এই বিশ্ব তো অনেক বড়।জানতে হবে অনেক কিছু। আমি যখন এই শহরে আসি তখন দেখি একটা বিষয়, প্রচন্ড ব্যস্ত এ শহরের মাঝে অামি শহরের শিক্ষার্থীদের থেকে অনেক পিছিয়ে। গ্রামে থাকা অবস্থায় জানতাম না আমাদের দেশে এতো পত্রিকা, ম্যাগাজিন, বিভিন্ন আত্ম উন্নয়নমূলক ক্লাব, বিভিন্ন লেখকের এতো ভালো ভালো বই, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন যারা দেশ উন্নয়নে নিঃশর্ত কাজ করে যাচ্ছে দিনের পর দিন, আর শহরে আসার পর ই প্রথম আমি এসব বিষয়ে ধারণা লাভ করি।
আমি ভাবলাম আমার গ্রামের শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগীতামূলক পৃথিবীর শিক্ষার কতটুকু পাচ্ছে। তারা আসলে এসব বিষয়ে খুবি কমই জানে। বলতে গেলে ১০% মাত্র। যার কারণে তারা বর্তমান উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না এবং সুশিক্ষিত হয়ে গড়ে উঠছে মাত্র অল্প কিছু শিক্ষার্থী। আর আমি দেখছি বিভিন্ন সংগঠন গুলো প্রায়শই শহরভিত্তিক কাজ করে। গ্রামের দিকে হাতেগনা মাত্র। আর যারা সবকিছু পাচ্ছে তারাই সবকিছু সবসময় পেয়ে যাচ্ছে। যারা অভাগা তারা অভাগা ই রয়ে যাচ্ছে।
দেশ উন্নয়নের জন্য সবাইকে দক্ষ হতে হবে সবকিছু সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে হবে। তাহলে ই দেশের শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাবে এবং নিরক্ষরতা দূর হবে। তখনই গড়ে উঠবে আমাদের সোনার বাংলাদেশ। তাই আমি বলবে তেলা মাথায় তেল না দিয়ে গ্রামের স্কুল কলেজ গুলোতে কাজ করা উচিত আমাদের। তাদের লেখাপড়ার পাশাপাশি এক্সট্রা কারিকুলাম সম্পর্কে ধারণা দেয়া উচিত। সেখানে বিভিন্ন কম্পিটিশন এর আয়োজন করা উচিত। তাদেরকে এসবে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ করে দিতে হবে আমাদের। তাহলে তারাও দেশের জন্য কাজ সম্পদ হয়ে দাড়াতে পারবে। লোভ দেখানো কাজ না করে যারা জানে না তাদের জানাতে এগিয়ে আসতে হবে। দেশ বদলাতে হলে দেশের প্রতিটি মানুষকে বদলাতে হবে।
তাই সকল সামাজিক এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করা অর্গানাইজেশনগুলো যেন গ্রামীণ সমাজের উন্নয়নে এগিয়ে আসে সেই উদ্দেশ্যই আমার এই লিখাটা। সমাজ পরিবর্তনের মাধ্যমেই দেশ পরিবর্তন হবে।যারা সতেচন হতে জানে তাদের জানিয়ে লাভ নেই। তার জন্য অজানাদের জানাতে হবে।