Sunday, April 27, 2025
34 C
Dhaka

ময়মনসিংহে ঘনঘন সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কে?

নকুল চন্দ্র দে পাপ্পু, মুক্তাগাছা

প্রশ্ন হচ্ছে, দেশে সড়ক দুর্ঘটনা কি ধারাবাহিকভাবে ঘটতেই থাকবে? প্রত্যেক ব্যক্তিই এ প্রশ্নের উত্তরে বলবেন, ‘না, এ অবস্থা আর কোনোভাবেই চলতে পারে না এবং চলতে দেওয়া যায় না। ’ আপনার- আমার বাঁচা মরা যে চালকদের হাতে সেই সব চালকরা কতটুকু দক্ষ? নাকী অদক্ষতার সাথে গাড়ি চালাচ্ছে, বলতে গেলে এই দক্ষতার পিছনে লোকানো অদক্ষতার ছোট্ট একটা ভুল হয়ে উঠতে পারে আপনার- আমার সারা জীবনের কান্যা? প্রশ্নটা রেখাই শুরু করতে চাই।

সম্প্রতি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা লাগামহীন হয়ে পরেছে। এমন কোন দিন নেই যে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে না, এযেন এক হত্যা যজ্ঞ শুরু হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। সারাদেশের মত প্রতিদিনই ময়মনসিংহের কোথাও না কোথাও দুর্ঘটনা ঘটছে, নির্মম বলি হচ্ছে একের পর এক প্রাণ। অনেকে বেঁচে গেলেও পঙ্গুত্ববরণ করছেন আজীবনের জন্য। সম্প্রতি শিশুরাও দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে। ৯০ ভাগ সড়ক দুর্ঘটনার জন্য চালক দায়ী। সড়ক দুর্ঘটনায় হত্যা বা নিহত হলে অভিযুক্তদের তেমন বড় ধরণের শাস্তি পেতে হয় না বলেই চালক-হেলপারদের মধ্যে দিন দিনই অসতর্ক, অবহেলা, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনা আর হতাহতের সংখ্যা।

ময়মনসিংহে সবচেয়ে বেশি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণহানী হয় সিএনজি অটোরিকশার সাথে অন্য ভারী যানবাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষে।

ময়মনসিংহের যে সব রাস্তার মোড় বা ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তায় স্পিডব্রেকার থাকার কথা বা উচিত সেই সেই জায়গায় নেই স্পিডব্রেকার, আর যেখানে স্পিডব্রেকার প্রয়োজন নেই সেখানে রয়েছে স্পিডব্রেকার। এমন অবস্থার জন্য অবশ্যই সড়ক বিভাগের দায়িত্ব অবহেলার ফলে এই দুর্ঘটনার জন্যও অনেকাংশে দায়ী।

ঝুঁকিপূর্ন মোড় হলেও স্পিডব্রেকার বসানোর নিয়মও নাকী নাই, কারণ স্পিডব্রেকার শুধু রাস্তার সংলগ্ন স্কুল আছে সেখানে স্থাপনের নিয়ম রয়েছে বলে জানান সড়ক বিভাগ। এই বিষয়ে ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ খান জানান, “সকল ঝুঁকিপূর্ন রাস্তার মোড় গুলোতে স্পিডব্রেকার বসানোর নিয়ম নেই, তবে ঝুঁকিপূর্ন রাস্তা গুলোতে বিভিন্ন সংকেত চিহ্ন আঁকানো হবে যাতে চালকরা সহজে বুঝতে পারে এবং সচেতনতার সাথে সহজেই ঝুঁকিপূর্ন জায়গা অতিক্রম করতে পারে”। এই নির্বাহী প্রকৌশলীকে প্রশ্ন করা হয় ময়মনসিংহের কোন সড়কগুলোতে দুর্ঘটনা বেশি হয় এবং কেন? উত্তরে তিনি বলেন সড়ক দুর্ঘটনা কম বেশি প্রত্যেক রাস্তায় হয় তবে সম্প্রতি ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দুর্ঘটনাটা বেশি হচ্ছে। আর এর জন্য সড়ক বিভাগ ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মুক্তাগাছার ভাবকীর মোড়ে আইলেন করা হবে এবং মুক্তাগাছা থেকে মধুপুর পর্যন্ত ১০টি সাইন সিগনাল বসানোর কাজ হবে। তিনি আরো বলেন” দেখেন মূলত রাস্তাটা চিপা অন্যদিকে মিক্সড যানবাহনের চলাচল এবং ফিটনেস বিহীন গাড়ি, চালকের অদক্ষতার জন্যই ঘনঘন দুর্ঘটনা হচ্ছে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চালকদের শাস্তি না পাওয়া, পুলিশের দায়িত্বহীনতা এবং টাকা খেয়ে আটককৃত গাড়ী চালককে ছেড়ে দেওয়া, বিআরটিএ’র দুর্নীতি সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বাড়িয়ে তুলেছে এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তা মেরামতের সময় ঝুঁকিপূর্ন রাস্তা চিহ্নিত করণ না করা এমন কারনগুলোর জন্যই দুর্ঘটনা স্বীকার হচ্ছে যাত্রীরা। অন্যদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে শ্রমিক নেতারা স্থানীয় থানা ম্যানেজ করে ২০ হাজার টাকায় মীমাংসা করে থাকে এই চিত্রও কম নয়। এই মীমাংসা পদ্ধতিটাও একধরনের অপরাধও বটে। কেননা এই মীমাংসা ব্যবস্থা ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত করছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকেও। ভাবতেও অবাক লাগে জীবনের মীমাংসার আর্থিক মূল্য মাত্র ২০ হাজার টাকা। শ্রমিক নেতাদের ধামাচাপার মীমাংসা কিছু মুহূর্তের জন্য। কিন্তু একটি পরিবারের প্রধান উপার্জনকারী যদি নিহত হয় তাহলে ঐ পরিবারের ভরণপোষণ কে চালাবে? সেই প্রশ্নটা শ্রমিক নেতাদের জন্য রেখে দিলাম।

গত কয়েক মাসে ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলার মধ্যে মুক্তাগাছা, ভালুকা, ত্রিশাল, নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ, ফুলপুর, গৌরিপুরের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনা তুলনামূলক ভাবে বেশি ঘটছে ।

পুলিশের তথ্য মতে সড়ক দুর্ঘটনার দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ন সড়ক হিসেব করলে প্রথমে রয়েছে ময়মনসিংহ-ঢাকা মহা সড়কের ভালুকা, ত্রিশালের ১২টি পয়েন্টে। ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল,জামালপুর মহাসড়কের মুক্তাগাছার ৯টি মোড় পয়েন্টে। ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের ফুলপুর, তারাকান্দার ৫টি পয়েন্টে। ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের গৌরিপুরের রামগোপালপুর, ঈশ্বরগঞ্জ এবং নান্দাইলের ১০টি মোড় পয়েন্টে। ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা সড়কের ৪টি মোড় পয়েন্টে সড়ক দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে। মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চলে যাচ্ছে তাঁজা তাঁজা প্রাণ।

ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চালকদের বেপরোয়া মনোভাবের কারণেই দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। তারা আইন-কানুন মানছেন না বলে দিন দিন দুর্ঘটনা বাড়ছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে দেশে আইন আছে, রয়েছে শাস্তির বিধান। কিন্তু আইনের প্রয়োগ সন্তোষজনক নয়।

সড়ক দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত চালকদের সাজা ভোগের নজিরও দেখা যায় না। আইনের নানা ফাঁক-ফোকর আর পুলিশের মামলা জটিলতায় দুর্ঘটনার জন্য দায়ী চালকদের তেমন ‘কিছুই হয় না’।

অন্যদিকে দুর্ঘটনার নিহতের স্বজনদের কান্না এখন দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রতিদিনের চিত্রে পরিণত হয়েছে। কোনো কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না সড়ক দুর্ঘটনা। বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, সড়কের সক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো ও ওভারটেকের মনোভাবের কারণেই বন্ধ হচ্ছে না সড়কে মৃত্যুর ঘটনা।

সড়ক দুর্ঘটনায় হত্যাজনিত মামলায়ও সাজা ভোগের নজির খুব কম। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী গাড়ির চালক-মালিকরা থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ কারণে একশ্রেণির চালক-শ্রমিক দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।

সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে ২০ হাজারেই মীমাংসা হয়। পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে ‘মারা গেলে ২০ হাজার, আহত হলে ৫ হাজার’ কথাটি প্রবাদবাক্যের মতোই প্রচলিত আছে। এর অর্থ হচ্ছে, বেপরোয়া গাড়ি চালানোর দুর্ঘটনায় কেউ নিহত হলে মীমাংসার নামে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা। আর মারাত্মক আহত কিংবা পঙ্গুত্ববরণকারীর জন্য এ বরাদ্দ সর্বোচ্চ ৫ হাজার।

সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলেই চালকদের দোষ দেওয়া হয়। চালকরা অবশ্যই দায়ী, কিন্তু তারা আসলে কতখানি দায়ী?

মালিকরা কী ধরণের গাড়ী চালকদের হাতে তুলে দেয়? গাড়িটি নীরাপদে চালানোর জন্য কতটা উপযুক্ত?
একজন মোটরযান চালকের দৈনিক কত ঘণ্টা এবং সপ্তাহে কতদিন গাড়ি চালানো উচৎ? আমাদের দেশের ড্রাইভাররা কত ঘণ্টা গাড়ি চালায়?
মোটরযান চালানো জন্য সড়ক কতটা উন্মুক্ত থাকে? অর্থাৎ, রাস্তাটি অযান্ত্রিক আরো অনেক যানবাহন দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে কিনা?
চালকদের জন্য বিনা খরচে সরকারীভাবে কোন ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা আছে কিনা?
ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে চালকদের মারাত্মক আর্থিক এবং মানসিক ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে কিনা?
রাস্তাঘাট ঠিক আছে কিনা? রাস্তার বাঁক, রাস্তার সোলিং, রাস্তার প্রশস্ততা -এ সবকিছুই এক্ষেত্রে বিবেচ্য।
ভুয়া ড্রাইভার লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে কিনা?

এতবড় একটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় যারা নিয়োজিত এবং আপনার আমার বাঁচা মরা যে চালকদের হাতে তাদের আমরা কতটা সম্মান করি, তাদের জীবনমানই বা কেমন?
পথচারীরা তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে কতটা সচেতন, তারা জোর করে গাড়িতে উঠছে কিনা, তারা ড্রাইভারকে প্ররোচিত করছে কিনা–এরকম অনেক কিছু বিবেচনায় নিতে হবে।
সর্বোপরি জনসংখ্যার ঘনত্ব, আমােদের দেশে যে পরিমাণ লোক রাস্তায় চলাফেরা করে পৃথিবীর অন্য কোন দেশে তা করে না, ফলে দুর্ঘটনা কিছু ঘটা অবশ্যম্ভাবি কিনা সেটাও ভেবে দেখতে হবে।

সুতরাং সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারসহ সবার পক্ষ থেকে অতিদ্রুত সমাধানের পথ খুঁজে বের করাসহ তার বাস্তবায়ন অতীব জরুরি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধের উপায় খুঁজতে হলে সর্বাগ্রে সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো চিহ্নিত করা প্রয়োজন। সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে—দেশে অনেক অনুপযুক্ত সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণ, নির্দিষ্ট লেন ধরে গাড়ি না চালিয়ে সড়কের মাঝ দিয়ে চালকদের গাড়ি চালানো অভ্যাস, রাস্তায় বিপজ্জনক বাঁক বিদ্যমান থাকা, রাস্তার ত্রুটিপূর্ণ নকশা থাকা, ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চালানো, মাদক সেবন করে গাড়ি চালানো, চালকদের বেপরোয়া গতিসহ ভুলপথে বেপরোয়া গাড়ি চালানো, যথেচ্ছ ওভারটেকিং, রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী বা পথচারীদের ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা, রাস্তার ফুটপাত ব্যবহার না করে রাস্তার মাঝখান দিয়ে চলাচল করা, রাস্তা পারাপারের জন্য অনেক সময় ওভারব্রিজ থাকলেও তা ব্যবহার না করে ঝুঁকি নিয়ে জনগণ কর্তৃক রাস্তা পার হওয়া, রাস্তার ওপর ও ফুটপাতে দোকানপাট সাজিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করা, যত্রতত্র গাড়ি পার্ক করা, দুর্বল ও দুর্নীতিগ্রস্ত ট্রাফিক ব্যবস্থা ও সর্বোপরি রাস্তায় চলাচলের জন্য যে সুনির্দিষ্ট নিয়ম-রীতি রয়েছে তা জনগণ কর্তৃক না মানার প্রবণতা বিদ্যমান থাকা ইত্যাদি।

এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই, আমাদের দেশের সড়ক ব্যবস্থাপনার চিত্র অত্যন্ত করুণ। অন্যদিকে অদক্ষ চালকের হাতে গাড়ি চালানোর দায়িত্ব দিয়ে, ট্রাফিক আইন না মেনে ও ফিটনেসহীন গাড়ি চালানোর মধ্য দিয়ে অসংখ্য মানুষের মূল্যবান জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও যেন ‘অজ্ঞাত কারণে’ এসব বিষয় দেখেও দেখে না। সরকার তথা যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, জনগণসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মনে রাখতে হবে, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা কোনো কঠিন বিষয় নয়। এ জন্য দরকার সরকার ও জনগণের ইতিবাচক চিন্তা ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ ও তার উপযুক্ত বাস্তবায়ন। রাস্তার ওপর বা ফুটপাতে হকারদের ব্যবসা করার সুযোগ করে দেওয়া, অপরিকল্পিত ও দুর্বল ট্রাফিকব্যবস্থা, ট্রাফিক পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজি, খেয়ালখুশি অনুযায়ী যেখানে সেখানে গাড়ি পার্ক করা, সড়ক-মহাসড়কের ওপর রিকশা, ভ্যান, টেম্পো, ম্যাক্সি, ট্যাক্সিস্ট্যান্ড ‘স্থাপন’ করা, রাস্তার মাঝখানে ডাস্টবিন স্থাপন করা, সড়ক-মহাসড়কের উন্নয়নকাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন না করা এবং একই রাস্তা বছরে বারবার খনন করা, জনগণ কর্তৃক রাস্তা পারাপারের নিয়ম-কানুন সঠিকভাবে না মানাসহ নানা কারণে দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে।

এ অবস্থায় সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো চিহ্নিত করে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অতিদ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। সর্বোপরি সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সর্বাগ্রে চালকদের হতে হবে আরো দক্ষ, হতে হবে সতর্ক। পাশাপাশি জনগণকেও ট্রাফিক আইন ও রাস্তা চলাচলের আইন-কানুন যথারীতি মেনে চলতে হবে। তাহলে কিছুটা হলেও মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার হাত থেকে মুক্তি পেতে পারি আমি, আপনি এবং আমরা।

Hot this week

নীল শাড়ি রূপা আর এক হিমালয়ের হিমু

সেদিন হিমালয় থেকে হিমু এসেছিল। মো. মোস্তফা মুশফিক তালুকদার। মাথার উপর...

সিজিপিএ বনাম অভিজ্ঞতা — মাহফুজা সুলতানা

বন্ধু, তোমার সিজিপিএ আমায় ধার দিও। বিনিময়ে,আমার থেকে অভিজ্ঞতা নিও।...

‘দেবী’কথনঃ একটু খোলামেলাই!

জুবায়ের ইবনে কামাল আপনি কি দেবী সিনেমা নিয়ে আমার মতই...

শরৎকাল: কাশের দেশে যখন প্রকৃতি হাসে !

ইভান পাল || আজ কবিগুরুর একটা গান ভীষণ মনে পড়ছে--- "আজি...

মাওঃ সাদ সাহেবের যত ভ্রান্ত উক্তি

বেশ কিছুদিন যাবৎ মাওঃ সাদ সাহেবকে কেন্দ্র করে তাবলীগ...

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আরপিএল: সম্ভাবনা ও গুরুত্ব

আরপিএল বর্তমান বিশ্বে দক্ষ মানবসম্পদ গঠনের জন্য প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি...

কালীগঞ্জে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে অভিভাবক সমাবেশ

গাজীপুরের কালীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ‘নরুন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে’ শিক্ষার মানোন্নয়নের...

দৈনিক যায়যায়দিনের ডিক্লারেশন ফিরে পেলেন শফিক রেহমান

দৈনিক যায়যায়দিনের ডিক্লারেশন ফিরে পেলেন বর্ষিয়ান সাংবাদিক শফিক রেহমান।...

বিয়ের কাজ সারলেন তালাত মাহমুদ রাফি

বিয়ে করেছেন সমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফি। সোমবার (১৭ মার্চ)...

যুদ্ধ বন্ধে পুতিনের সাথে কথা বলবে ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি আগামীকাল মঙ্গলবার রুশ...

সিআইডি প্রধান হলেন গাজী জসীম

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন...

দেশের মাটিতে পা রাখলেন হামজা চৌধুরী

অবশেষে অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো। দেশের মাটিতে পা রাখলেন...

পিরোজপুরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে পিতা-পুত্র আটক

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সপ্তম শ্রেণির এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে জোর করে...
spot_img

Related Articles

Popular Categories

spot_imgspot_img