বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান খায়রুল বাশারকে মানি লন্ডারিং আইনে গ্রেপ্তার দেখানোর পর এবার আরও নয়টি প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর অনুমতি দিয়েছে আদালত। বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
ঢাকা সিএমএম আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শামসুদ্দোহা সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ১০ দিনের রিমান্ড শেষে খায়রুল বাশারকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। শুনানি শেষে পৃথক নয়টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করা হয়।
গত ১৪ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে খায়রুল বাশারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সংস্থাটি জানায়, ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনি, তার স্ত্রী খন্দকার সেলিমা রওশন এবং ছেলে আরশ ইবনে বাশারকে নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র গড়ে তোলেন। তারা বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, স্কলারশিপ এবং ভিসা প্রক্রিয়াকরণের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতেন।
সিআইডির তথ্য অনুযায়ী, বিজ্ঞাপন, ভুয়া প্রতিনিধিত্ব ও প্রতারণামূলক কাগজপত্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রলুব্ধ করা হতো। অনুসন্ধানে দেখা যায়, অনেক আবেদনকারী শিক্ষার্থীর নামে কোনো বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে আদৌ আবেদন করা হয়নি। আবার কেউ কেউ বিদেশে গিয়েও বিভিন্নভাবে প্রতারিত হয়েছেন।
এ পর্যন্ত ৪৪৮ জন ভুক্তভোগীর বক্তব্য সিআইডি সংগ্রহ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রকৃত ভুক্তভোগীর সংখ্যা আরও বেশি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী বিভিন্ন থানায় প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করেছেন।