যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যসংক্রান্ত আলোচনার পর বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্যে শুল্ক কমতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আলোচনার অগ্রগতি হলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের প্রবেশাধিকার সহজ হবে।
আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাজধানীর সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ ও সরকারি ক্রয়–সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা আছেন। আজ বাণিজ্য সচিবও সেখানে যাচ্ছেন। আগামীকাল (৯ জুলাই) গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আশা করছি, বৈঠকটি ফলপ্রসূ হবে। এর ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, এর আগে গত ৬ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যা মোটামুটি সফল ছিল। ওয়ান-টু-ওয়ান আলোচনা এগিয়ে নিতে ইউএসটিআর (যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য প্রতিনিধি অফিস)–এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি মাত্র পাঁচ মিলিয়ন ডলার। অথচ ভিয়েতনামের সঙ্গে তাদের ঘাটতি ১২৫ বিলিয়ন ডলারের মতো। সেখানেও যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ বিবেচনা করছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এত বেশি শুল্ক আরোপের যৌক্তিকতা থাকে না।”
মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন তিনি। তাঁর ভাষ্য, “খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে এবং ধীরে ধীরে আরও কমছে। তবে নন-ফুড পণ্যগুলোতে কিছুটা সময় লাগবে। বাজেট ঘাটতি বড় কিছু নয়। সিস্টেমে পরিবর্তন এনে রাজস্ব আদায়ের হার বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।”
অর্থ উপদেষ্টা আরও আশাবাদী, আলোচনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও উন্নত হবে এবং তা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।