সাইফ গতকাল চকবাজারে গিয়ে দেখলো বুড়িগঙ্গার পানি নাকি থৈই থৈই করতেছে। ভারি বর্ষন হলে নাকি ঢাকাও পানি ঢুকতে পারে।এটা শুনার পর আমার মনে কেমন জানি একটা ভয় কাজ করা শুরু করছে। গত এক-দেড় মাস ধরে দেশের বন্যা পরিস্থিতি দিনদিন অবনতি হচ্ছে।শুধু বাংলাদেশ না চীন,নেপাল এমনকি ভারতের ৪টি রাজ্যেও ভয়াবহ বন্যা দেখা দিছে। দক্ষিন এশিয়ার প্রায় এক কোটি ৬০লাখ লোক চরমভাবে এবারের বন্যায় বিপর্যস্ত।এই পযর্ন্ত পুরো দক্ষিন এশিয়ায় প্রায় ৫শ জন লোক এই বন্যায় মারা গেছেন। দক্ষিন এশিয়ার কথা বাদ দি বাংলাদেশে প্রায় ২৭টা জেলা বন্যায় পুরো বিপর্যস্ত।মারা গেছেন প্রায় ৯৩জন।বন্যার পানি নাকি বিপদসীমার উপর দিয়ে রেকর্ডব্রেকিংভাবে বইছে। এই অবস্থায় উত্তরান্ঞালের মানুষ কিভাবে দিন পার করছেন আল্লাই ভালো জানেন।
সন্ন্যাসীপুর ধরলা নদীর তীরবর্তী একটা গ্রাম। এই গ্রামেই ধরলার সবচেয়ে বড় বাঁধ। বাঁধের পাশেই ব্যাপারী বাড়ি।বাড়ির মালিক ছাড়া বানের পানি সব ভাসাই নিয়ে গেছে।
ওনার স্ত্রী-দুই সন্তান কে নিয়ে গেছে।হয়তো আমি এখন যতো সহজে লিখতেছি ততো সহজে তিনি বলতে কি ভাবতেও পারেননি। ঝড় নাই তুফান নাই কিভাবে বছরের অধিকাংশ সময় মরা এই নদী তার সব কেড়ে নিতে পারে?কিন্তু পাহাড়ি ঢলের পানিতে এখন ধরলাও গর্জন দিয়ে মাইলে পর মাইল তান্ডব চালাতে জানে তার সাক্ষী এই ব্যাপারী বাড়ির মালিকের মতো বন্যার পানিতে ভুক্তভূগী সব জেলার মানুষই।
বন্যা ভাসায় আবার ডোবায়। ৮৮ বা ৯৮ এর বন্যা দেখা আমার হয়নি কিন্তু এবার যা হচ্ছে তা দেখে শুধু বলবো আল্লাহ এই মসিবত থেকে এই দেশের মানুষকে রক্ষা করুন।
ত্রান সহায়তা প্রায় বেশিরভাগ জায়গাই পৌছায়ছে।অনেকে পেয়েছেন অনেকে হয়তো এখনও পায়নি। অনেকে নিজ উদ্যোগেও সাহায্য করছেন। প্রায় ৬লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয় তাদের পাশে দাড়াবেন। অনেকেরই খারাপ লাগে মানুষের এই দুর্ভোগ দেখে কিন্তু সাহায্য করার মতো ক্ষমতা নেই। আবার অনেকের আছে কিন্তু কারো মাথা ব্যাথা নেই। একটা কথা আমাদের মনে রাখা উচিত এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ অন্ঞলের মানুষগুলোই কিন্তু দেশের খাদ্য ভান্ডার সমৃদ্ধ রাখে। তাই আসুন আজ তাদের বিপদে খাদ্য দিতে না পারি কিন্তু অন্তত বাহাদুর ব্যাপারীদের বিপদ কাটিয়ে উঠার জন্য দোয়া করি।